সময়ের প্রেম যখন চলে দামি রেস্তোরার আবদ্ধ চারদেয়ালে,
আউট ডোরে ফটোশুট কিংবা রাতের হ্যাং-আউটের জলসায়!
লংড্রাইবে বের হয়ে চেইক-ইন দেওয়ার মত আধুনিকতায়-
সেখানে তোমার আমার প্রেম যেন
বিলুপ্ত একখানা সরকারী পোস্ট অফিসের মতন।
যাকে ব্যাবহারের প্রয়োজন যেমন কারো নেই
তেমনি, আমাকেও তোমার প্রয়োজন পরেনা আজকাল।
মরচে পরা অব্যবহৃত একজন ডাক পিয়নের কার্বন কপি আমি,
হয়ত সবার মত লাল,নীল নোটের বান্ডেল ভর্তি পকেট নেই আমার!
কফি হাউজে আর বিদেশী রেস্তোরার ওজন বহন করার ক্ষমতা নেই!
তবু, আর সবার থেকে আমিও ভাল কম বাসিনি তোমায়।
জম্নদিনে দামি অলঙ্কার দিয়ে তোমার খুশি করাতে না পারলেও
খালি গলায় তোমার প্রিয় দুটি লাইন শোনাতে পারি বন্ধ চোখে।
ভালবাসা দিবসে ধারকরা টাকা দিয়ে তোমায় নিয়ে রিক্সায় ঘুরতে পারি,
শাহাবাগের একটি তাজা গোলাপ দিয়ে তোমায় শুভেচ্ছা জানাতে পারি।
আর বড়জোর শত লাইনের প্রেমের ছন্দ মাখা দুটো কবিতা
তোমার নামে উতসর্গ করে স্বত্বাধিকারী করে দিতে পারি তোমায়।
এর চেয়ে বেশি কিছু দেওয়ার সাধ্য আমার নেই প্রিয়তম।
প্রাচুর্য্যকে ভালবেসে যদি সুখি হতে পার! তবে সুখি হও...
০২ ফালগুণ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ।